রোজমেরি:
বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় সুগন্ধি ও ঔষধি গাছের অন্যতম হলো রোজমেরি। রোজমেরিতে আছে কয়েকটি যৌগ, যেমন কেফিক ও রোজমেরিনিক অ্যাসিড, আর এর এসেনশিয়াল তেল হলো এপিনন, ক্যামফর ও লিনালুল।
অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহৃত হয় রোজমেরি। স্মৃতি উন্নয়নে সহায়ক, সজ্ঞান সতর্ক ভাব রাখতে সহায়ক। রোজমেরি চা চাপ উপশম করে, হ্রাস করে বিষণ্নতা।
ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচায়, ব্রণও সারায়। রোজমেরি তেল রক্তসংবহন বাড়ায়, রক্তনালি করে প্রসারিত ও রক্ত করে উষ্ণ, রক্ত সহজে পৌঁছে আঙুলেও।
লেমন বাম:
মিন্ট পরিবারের গুল্ম, এতে আছে রোজমেরিনিক অ্যাসিড, তাই হয়ে উঠেছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী। এতে আছে উদ্বায়ী তেল ‘মিট্রল’ ও ‘মিট্রনেলাল’। স্নায়ু আরাম করে চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়।
পলিকেনলসমৃদ্ধ, লেমন বামে আছে ঠান্ডা ক্ষততে ভূমিকা। চা হিসেবেও পানীয়।
চ্যামোমিলে:
নরম আরাম দেওয়ার গুণের জন্য এটি পরিচিত, এর শুষ্ক ফুলে আছে টার্পেনডেস ও ফ্লাডোনয়েডস—এগুলো একে দেয় ঔষধি গুণ।
এর প্রদাহরোধী গুণাগুণের জন্য চ্যামোমিলে তরলমল হলে বেশ কাজ করে, পাকস্থলীর অম্ল হ্রাস করে।
এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ‘ফ্ল্যাডোনস’, কমায় রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল।
চ্যামোমিলে এসেনশিয়াল তেল ব্যবহৃত হয় অ্যারোমাথেরাপিতে। ম্যাসেজ তেল, লোশন ও ক্রিমে আছে মিশ্রিত, ত্বকের বোনে কাজ করে বলে জানা। স্টিম ও ডেপার থেরাপিতে আছে এর ব্যবহার।
হলুদ:
আদা পরিবারের সদস্য, হলুদের সবচেয়ে সক্রিয় উপকরণ হলো ‘কারকুমিন’। এর আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী গুণ আথ্রাইটিসের ব্যথা আরাম করে, ত্বকের অসুখ একজিমা ও সোরাইসিসে কাজ করে দেয় অনেকে বলেন। আয়ুর্বেদ চিকিত্সায় এর আছে বহুল ব্যবহার।
হৃদ্রোগ, আলঝেইমার রোগে আছে এর হিতকরী ভূমিকা। হলুদ দিয়ে রান্নার সময়, একে গোলমরিচ ও শুষ্ক আদার সঙ্গে মেশালে ঔষধি গুণ বাড়ে।
আদা:
আদা-চা ঠান্ডা–সর্দিতে চমত্কার আরাম দেয়। আদার ঔষধি গুণের পেছনে রয়েছে ‘জিনজেরল’। আদাতে আছে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টি–উপকরণ সেগুলো আথ্রাইটিস, প্রদাহ ও সংক্রমণে সহায়ক। কাঁচা বা গরম করা আদা, পেশি শূল উপশম করে। আদাতে আছে যে এনজাইম, সেগুলো পেটে বায়ুনাশে উপকারী, পেটফাঁপা কমায়। অন্ত্রের চলন বাড়ায় । এতে কোষ্ঠবদ্ধতা কমে।
সেজ গাছ:
সেজ (স্যালডিয়া) হলো খাবারের স্বাদ–গন্ধ বাড়ানোর জন্য অনুজ্জ্বল ধূসর হরিৎ পাতাবিশিষ্ট উদ্ভিদ। ব্যবহারবিশেষে এর নানা গুণ। ক্রনিক রোগে উপকারী। আছে এর জীবাণুরোধী গুণ, এর পাতা পুড়িয়ে বাতাস বিশুদ্ধ করা হয়।
পেপারমিন্ট:
পেপারমিন্টে সক্রিয় উপকরণ হলো মেনথল, এই জৈব যৌগ দেয় শীতল অনুভূতি, যখন ত্বকে বা মুখে করা হয় এর প্রয়োগ। মৃদু অবেদক হিসেবে হয় এর ব্যবহার। ত্বকে ব্যবহার হয়, চাতে ব্যবহার হয়, বাষ্পের সঙ্গে নাক দিয়ে টানা হয়। নাক বন্ধ কমে, কফ–কাশ–শ্বাসকষ্টে আরাম হয়। এর জীবাণুরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ দেহপ্রতিরোধ মজবুত করে। এতে আছে ভিটামিন এ, সিসহ আরও খনিজ। অন্য তেলের সঙ্গে লঘূকরণ করে কপালে বা মাইনাস এলাকায় প্রয়োগ করলে পেপারমিন্ট মাথাব্যথা আরাম করে। পানির সঙ্গে লঘূকরণ করে পেপারমিন্ট তেল অ্যালার্জি হ্রাসে কাজ দেয়, শুষ্ক ত্বক যা চুলকায় এতে কাজ দেয়। কেশ ধোয়াতে ব্যবহৃত হলে চুলে দেয় আর্দ্রতা ও এর বাড়ন দেয় বাড়িয়ে।