করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৩ মাস ১৩ দিন পর খুলছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। পহেলা জুলাই থেকে জেলা প্রশাসনের দেয়া ১৪টি শর্ত মেনে সাগরে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
ইতিমধ্যে পর্যটকরা অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের রাখার কথা জানিয়েছে হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের বেলাভূমি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। গত ১৭ মার্চ কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পকে লিখিতভাবে বন্ধ করে জেলা প্রশাসক। এর ফলে কয়েকশ কোটি টাকা লোকসানের মুখে এখানকার ট্যুরিজমের সঙ্গে থাকা ৫ হাজার ছোট বড় ব্যবসায়ীরা। করোনা থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসনের দেয়া ১৪টি শর্ত মেনে আবাসিক হোটেল পরিচালনা করছে; কিনা তা মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ভ্রাম্যমান টিম দেখভালের দায়িত্বে থাকবে।
জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেডজোন রেখে পহেলা জুলাই থেকে খুলছে কুয়াকাটা। কোন হোটেলে করোনার আক্রমণ দেখা দিলে সেটি বন্ধ রাখা হবে। ইতিমধ্যে সকল হোটেল মোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে পরিষ্কার পরিছন্নতার কাজ। পর্যটকদের সুরক্ষা দিতে হোটেল বয়দের দেয়া হয়েছে সাতদিনের ট্রেনিং। ইতিমধ্যে হোটেলগুলোতে বুকিং শুরু হয়ে গেছে, ১ তারিখ থেকে হোটেল খোলায় স্বস্তি বোধ করছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ জানান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল মোটেল, রেস্তোরা মালিক ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের দেয়া ১৪টি শর্ত মেনে পহেলা জুলাই থেকে হোটেল খোলার অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, গত ১৫ জুন থেকে গণপরিবহনসহ সকল কিছু খোলা হয়েছে। অর্থনীতি কর্মকাণ্ড সচল রাখতে পহেলা জুলাই থেকে খোলা হচ্ছে কুয়াকাটা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু পরিচালনা করার কথা জানালেন তিনি।
১৮ মার্চ থেকে প্রশাসন ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কুয়াকাটাকে লকডাউন ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বন্ধ রয়েছে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এর সঙ্গে যুক্ত থাকা পাঁচহাজার শ্রমিক মালিক।