লেবানন থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন চাচা-ভাতিজা

মৃত্যুর ২৩ দিন পর দেশে ফিরেছে দুই লেবানন প্রবাসীর মরদেহ। শুক্রবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ দুটি বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

তারা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সিদ্দিক আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল মিয়া (২২)। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত মোজাম্মেল মিয়ার বড় ভাই জাফর উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে আমরা মরদেহ দুটি বিমানবন্দর থেকে গ্রহণ করি। মরদেহগুলো আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আমার ভাইয়ের কফিল (মালিক) মরদেহ দুটি পাঠানোর সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করেছেন। শনিবার (৭ মার্চ) দুপুরে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর আগে জীবিকার তাগিদে লেবানন যান হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়া। এরপর তিনি লেবাননের ‘শুর’ জেলার দুর্গম ‘হারিফ’ গ্রামের লায়লা ইব্রাহীমের বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ নেন। ৬ মাস পর সেখানে যোগ দেন একই গ্রামের মোজাম্মেল মিয়া। আব্দুল্লাহ মিয়া ও মোজাম্মেল মিয়া সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা হওয়ায় সেখানে একই রুমে থাকতেন তারা।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে খাবার শেষে শীত নিবারণের জন্য দরজা-জানালা বন্ধ করে একটি স্টিলের বাটিতে কয়লা জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তাদের রুমের দরজা বন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় বাড়ির মালিকের। বিকেলে খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে রুম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে অক্সিজেনের অভাব ও কয়লার কালো ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে। আব্দুল্লাহ মিয়া দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক আর মোজাম্মেল মিয়া অবিবাহিত ছিলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *