করোনাভাইরাসের কারণে একমাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে প্রায় লকডাউনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণার পরও গত এক মাসে সারাদেশে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ২১১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২২৭ জন। একই সময় নৌ-পথে ৮টি দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত, ২ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার (৩ মে) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এপ্রিল মাসে সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৬৯ জন পথচারী, ৬৭ জন চালক, ৩২জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন শিক্ষক, ৪৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ২৭জন নারী, ২১জন শিশু, একজন সাংবাদিক ও একজন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
এর মধ্যে নিহত হয়েছে ৫০ চালক, ৬৪ পথচারী, ২২ নারী, ১১ শিক্ষার্থী, ২০ পরিবহন শ্রমিক, ১৮ শিশু, একজন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, তিন শিক্ষক ও একজন সাংবাদিক।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় সর্বোচ্চ ৯৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মাধ্যমে। এছাড়া, ৬৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে, ২৯টি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ২৮টি নসিমন ও করিমন, ২২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ১৭টি প্রাইভেট কার ও ১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে বাসের মাধ্যমে।
এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ২৩ এপ্রিল। ওইদিন ১৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪জন নিহত ৫ জন আহত হয়। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ৯ এপ্রিল। সেদিন ১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১জন নিহত হয়।