ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সাদেক বাচ্চু মারা গেছেন। রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১২টা ০৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সাদেক বাচ্চুর মৃত্যুর বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান। মৃত্যুকালে সাদেক বাচ্চুর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাদেক বাচ্চুকে। হাসপাতালে ভর্তির পর করোনা পরীক্ষা করালে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) তার করোনা পজিটিভ আসে। তার অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ গুণী অভিনেতা।
ডাকবিভাগের সাবেক কর্মকর্তা সাদেক হোসেন বাচ্চু ১৯৮৫ সাল চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। ‘রামের সুমতি’র মাধ্যমে যাত্রা শুরুর পর বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ার তার। শুরুতে মঞ্চ নাটকে অভিনয় করতেন। মতিঝিল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এ দলের সভাপতিও ছিলেন। বেতারে একটা সময়ে অসংখ্য নাটক করেছেন। বেতারের খেলাঘর তার আলোচিত একটি নাটক।
টেলিভিশন নাটকে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৭৪ সালে। নাটকটির নাম ছিল- প্রথম অঙ্গীকার। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেন আশির দশকে। সিনেমাটির নাম- রামের সুমতি। পরিচালনা করেন শহিদুল আমিন।
বহুমাত্রিক এ অভিনেতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- জোর করে ভালোবাসা হয় না (২০১৩), জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার (২০১৩), জীবন নদীর তীরে (২০১৩), তোমার মাঝে আমি (২০১৩), ঢাকা টু বোম্বে (২০১৩), ভালোবাসা জিন্দাবাদ (২০১৩), এক জবান (২০১০), আমার স্বপ্ন আমার সংসার (২০১০), মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), বধূবরণ (২০০৮), ময়দান (২০০৭), আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), প্রিয়জন (১৯৯৬), সুজন সখি (১৯৯৪)।
১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন গুণী এ অভিনেতা। অভিনয় ছাড়াও দীর্ঘ দিন তিনি বাংলাদেশ ডাক বিভাগে চাকরি করেছেন। ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায় অভিনয় করে খল অভিনেতা হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।