Guess the start show তে নিশোকে অতিথি হয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন রাইহান রাফি। শো নিয়ম অনুযায়ী একটি পর্বে স্টার দেখানো হয় এবং উপস্তিত থাকা দর্শকরা clue ক্লু দিয়ে অতিথিদের থেকে নাম জানতে চান।
“What a show” তে স্ক্রিনে শাকিব খানের ছবি।
নিশোকে অডিয়েন্স এর ক্লু তে পরিচয় বলা দরকার।
দর্শকরা ক্লু দিচ্ছিলো – “এই ঈদে আপনার কম্পিটিটর, বাংলা মুভির কিং বলা হয়, দামি চশমা পড়ে, বাংলাদেশের ১নং সুপারস্টার ” এত গুলো ক্লু দিলেও বলে আরো ক্লু দাও বুঝতে পারিনি।
🙂
তারপর আরেকজন যখন বললো তার দুইটা সন্তান এবং দুইটা ওয়াইফ।
তখন উত্তর দিলো শাকিব খান।
ফেসবুক পোস্টে প্রিয়তমা _Priyotoma_ FC নামে একটি পেইজ থেকে শাকিবিয়ান ভক্তরা লিখেনঃ
#অহংকারী নিশোকে নিয়ে আমার মন্তব্যঃ-
নিশো আপনি শাকিব খানকে সে বলে যেভাবে সম্মোধন করলেন, এটা আসলে আপনার মতো একজন ব্যক্তির কাছ থেকে জাতি আশা করেনা।
আপনার চাইতেও অনেক বড় মাপের অভিনেতারাও শাকিব খানকে প্রশংসার সাগরে ভাসাতে কার্পণ্যতা করেনি কখনি। কোলকাতার সুপারস্টাররাও শাকিব খানের নাম নেওয়ার আগে বড় সুপার স্টার বলে আখ্যায়িত করে।
আর আপনি সিনেমা মুক্তির আগেই শাকিব খানকে নিজের প্রতিপক্ষ ভাবা শুরে করলেন বাহ নিশো ভাই বাহ।
আপনি একটা কথা ভুলে যাচ্ছেন ভাই, শাকিব খান আপনার অনেক সিনিয়র অভিনেতা।
এটা শাকিব খানের রাজ্য এখানে শাকিব খানের নামের উপরই সিনেমা হিট হয়।
আপনার অহংকারসলূভ আচরণের জন্য শাকিবিয়ান রা আপনাকে বয়কট করলো।
ফেসবুক পোস্টে Rafiuzzaman Rafi নামে এক জন লিখেনঃ
সিনেমায় এসে নিশোর সংগ্রামটা নিশোকে একাই করতে হচ্ছে। কেউ তার জন্য পথে পথে ফুল বিছিয়ে রাখেনি। পারলে পুতে ফেলার চেষ্টা করেছে। শুরুতেই বসিয়ে দিতে চেষ্টা করেছে।
সেসময় মনে হয়েছে এসব প্রতিবন্ধকতা সহজেই উতরে যাবে সে। কেননা তার তখনকার স্পিচগুলো যথেষ্ট পরিপক্কতার পরিচয় দিত। কিন্তু ইদানিং যে নিশোকে দেখছি তাকে গতানুগতিক মনে হচ্ছে। ধীরে ধীরে ওজন হারাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
সে আকারে ইঙ্গিতে খোঁচা দিয়ে কথা বলে নিজের আলাদা অবস্থানটা হারাচ্ছে। এটা নিয়মিত হলে শিগগিরই মানুষজনের বিরক্তি ও হাসির কারণ হয়ে উঠবে যেটা সম্প্রতি আরও সম্ভাবনয়ীরা হয়েছে। বিষটা কি নিশো অনুধাবন করে?
তার বোঝা উচিত, পাঙ্গাটা কাজ দিয়েই নিতে হয়, মুখ দিয়ে না। নইলে অবস্থানটা বলিউডের কঙ্গনা, টলিউডের শ্রীলেখা আর ঢালিউডের অনেকের মতো সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বি: দ্র: যারা শাকিব খান কিংবা শরিফুল রাজ কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে খোঁচানোটা নিশো বা রাফীকে শোভা পায় না।
ফেসবুক পোস্টে সাজিয়া মাইয়া নামে এক জন লিখেনঃ নিশোকে নিয়ে লিখতে চাই নাই কিন্তু লিখতে বাধ্য হলাম।
নিশোর অনেক ভক্ত হয়তো আমার লিস্টে আছেন তার পর ও বলি।নিশোকে আমার কাছে লাগছে চরম বেয়াদব ও ওভার কনফিডেন্স।
১.সব গুলো ইন্টারভিউ তার দেখছি সে শাকিবকে “সে” বলে সম্মোধন করছে যা বাজে লাগছে। সিনিয়র সুন্দর করে কথা বলা যেত।
২.শাকিবের নাম না নিলেও তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে খোচা মারা ঠিক হয় নাই।
৩.প্রথম মুভি তাই তাই চাপ আছে এটা বললে হতো কিন্তু তার কোন চাপ নাই,সে বাংলার ১নাম্বার হিরো ভাব খানা এমন।
৪.সোকল্ড নিশো যেই এংগলে বুঝাক সবাই বুঝছে এটা সে শাকিবকে বলছে। বেশি কথা বলা উচিত হয় নাই।
শাকিবের মুভি যে আমি দেখি তা না কিন্তু সে এই জগতে বহু বছর যাবত আছে,ভাল করছে।
নিশোএ বুঝা উচিত নাটক ছোট জগৎ নাটক একবার দেখার পর আর দেখে না কেউ কিন্তু রূপালী পরদা অন্য রকম।
এটা সাগর তাই সবাই পারে না এখানে ভাল করতে।
নিশো অভিনেতা হতে পারে কিন্তু বেয়াদব ও ওভার পন্ডিত বলে মনে হয়।
বড় পর্দায় তার অভিষেকটা যে আতস কাঁচের তলায় থাকবে, সব ত্রুটি বিচ্যুতি যে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিমাপ করা হবে, সেটা আফরান নিশো জানতেন। জানতেন, কোথাও কোনো ভুলচুক পেলে শূলে চড়ানোর জন্য প্রস্তুত থাকবে অনেকেই। নিশো অবশ্য নির্ভার ছিলেন। সিনেমা মুক্তির আগে বলেছিলেন, ‘মিডিয়াম যেটাই হোক, করতে তো হবে অভিনয়। সেটা সব জায়গায়ই এক’। নিজের অভিষেক সিনেমায় নিশো সেই ‘অভিনয়’টাই করলেন। তুখোড় সেই অভিনয়। যে নিশোকে ছোট পর্দায় দেখে মুগ্ধতা জাগতো, সেই অভিনয়। মাধ্যমটা বদলে গেল, পর্দা বড় হলো, কিন্তু নিশোর ‘ওয়ান ম্যান শো’ তে ছেদ পড়লো না কোনো।
সুড়ঙ্গে নিশো এলেন মাসুদ হয়ে। এই মাসুদ কিন্তু খারাপ মানুষ নন। ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন। অকস্মাৎ প্রেমে পড়েন, সংসারও পেতে বসেন। কিন্তু জীবনের কঠিন বাস্তবতা তাকে দাঁড় করায় অদ্ভুত এক সমীকরণের মুখোমুখি। যেখানে দাঁড়িয়ে মাসুদ আবিস্কার করেন, জীবনে আসলে টাকাটাই সব। বাকীসব মিথ্যে, মরীচিকা। এই রঙবদলের খেলায় মাসুদও বদলে যান। পরিকল্পনা সাজান, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামানোর। হোক না সেটা অবৈধ পথে।
চিত্রনাট্যের কল্যানে সুড়ঙ্গ ‘ওয়ান ম্যান শো’ হয়নি। কিন্তু নিশো নিজের ভেলকি দেখিয়েছেন ক্ষণে ক্ষণে। চরিত্রের একেকটা লেয়ার নিয়ে খেলেছেন তিনি। কখনও অবুঝ প্রেমিক, কখনও দায়িত্ববান স্বামী, কখনও প্রেমিকার অবহেলায় কাতর, কখনও আবার আবেগের কাছে হার মেনে নেয়া এক যুবক। কখনও তিনি স্বপ্নাতুর যুবক, কখনও প্রতিশোধের নেশায় মরিয়া, কখনও আবার সর্বহারা একজন। কখনও তিনি পুলিশকে ঘোল খাইয়ে দিচ্ছেন, কখনও আবার ভালোবাসার মানুষের মিথ্যেকেও অবলীলায় বিশ্বাস করে নিচ্ছেন।
এই সবগুলো অবয়বকে নিশো খুব দারুণভাবে ধারণ করেছেন নিজের মধ্যে। আলাদা আলাদাভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিটি ইমেজ। নিশো নিজের কথার মান রেখেছেন। ছোট থেকে বড় পর্দায় আগমন তার প্রতিভায় ছাপ ফেলতে পারেনি। নিজের কাজটা তিনি অসম্ভব মনোযোগ দিয়ে করেছেন। তার প্রমাণ তিনি রেখেছেন একেকটা দৃশ্যে। একটা দৃশ্যের কথা বলা যাক। মাসুদ প্রতিশোধ নিচ্ছেন। হল ভর্তি দর্শক চিৎকার করছেন তখন। সবাই নিশোর পক্ষে। পরক্ষণেই দেখা গেল, মাসুদ আসলে স্বপ্ন দেখছিলো এতক্ষণ। পুরো হলজুড়ে একটা হতাশার সুর শোনা গেল। দর্শককে তিনি এতটাই একাত্ম করে ফেলেছিলেন নিজের সাথে। নিজের অভিনয় দিয়ে।
প্রথম সিনেমা দিয়েই বড় পর্দায় সবশেষ এমন গ্র্যান্ড এন্ট্রি বাংলাদেশে বোধহয় সালমান শাহ পেয়েছিলেন। তারপর নিশো পেলেন। এবং সেটার মানও তিনি রাখলেন পুরোপুরি। নিশো মুগ্ধ করেছেন। নিশো মাতিয়ে রেখেছেন পুরোটা সময়জুড়ে। নিশো ক্ষণে ক্ষণে জানান দিয়েছেন, সুড়ঙ্গের এই গল্পটা আসলে তার জন্যেই লেখা হয়েছিল। ‘মাসুদ’ নামের চরিত্রটাও তার জন্যেই জন্ম হয়েছিল। এই নিশো সবকিছু জয় করতে এসেছেন। এই নিশো লম্বা সময় ধরে থাকতে এসেছেন!