কিশোরীকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে ধর্ষকেরা। তবে শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা, ওই কিশোরীর জিভ কেটে চোখজোড়াও উপড়ে ফেলে ধর্ষকেরা। এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের লক্ষিমপুর খেরি জেলায়। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রামেরই একটি আখখেত থেকে ওই কিশোরী দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ নিশ্চিত ধর্ষণের পর নিজেদের আড়াল করতেই ওই কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে। দেহ বিকৃত করতে দু’চোখ নির্মম ভাবে উপড়ে, জিভটিও কেটে ফেলা হয়। তবে, শ্বাসরোধ করে মারার আগে এ ভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল নাকি মৃত্যুর পরে জিভ কেটে চোখ ওপড়ানো হয়েছিল, এ নিয়ে পুলিশ এখনও কিছু জানাতে পারেনি।
জেলা পুলিশের প্রধান জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। কিশোরীকে যে ধর্ষণ করা হয়েছিল, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে।
পুলিশকর্তা জানান, দুই অভিযুক্তকে এর মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। সেইসঙ্গেই জাতীয় নিরাপত্তা আইনে পৃথক একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর থেকেই ওই কিশোরী নিখোঁজ ছিল। মেয়েটির বাবা জানান, অনেকক্ষণ মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজ করি। গ্রামের আশপাশে সর্বত্র খুঁজে শেষ পর্যন্ত নেপাল সীমান্তঘেঁষা আখখেতে মেয়ের নিথর দেহ খুঁজে পাই। মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখে আমি শিউরে উঠি। ওর ওড়না দিয়েই গলায় ফাঁস দেওয়া হয়েছিল। অত্যাচারের পর ওর চোখজোড়া উপড়ে নেয় ধর্ষকরা। জিভও কেটে ফেলে দেয়।