অসুস্থ মানসিকতা বন্ধ ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়তেই দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ ৭৪ তম অধিবেশনের যোগদানের ফাঁকে নিউইয়র্কে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। অভিযানের কারণে ঝুঁকি থাকলেও ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা বিবেচনা করেই কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাক্ষাৎকারটি প্রচার করে সংবাদমাধ্যমটি।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে আমরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। সেই সাথে সাথে আমি মনে করলাম যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানটা না চালাই তাহলে আমাদের সমাজের একটা বিরাট বৈষম্য সৃষ্টি হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আমি বলব, আমার দলের কে কী সেটা আমি দেখতে চাই না। অনিয়ম-দুর্নীতি যেখানে আছে আমাদের দেশকে ফাঁকি দিয়ে যারা কিছু করতে চাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। শেখ হাসিনা বলেন, হ্যাঁ আমি জানি এ কাজে অনেক ঝুঁকি আছে।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আরো বলেন, বিএনপির ওপর আস্থা নেই বলেই আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে জনগণ।
বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, তারা আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারল, তারপর দুর্নীতি-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, অস্ত্র চোরাকারবারী, মানি লন্ডারিং এবং গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত। এই যে নানা কারণে অন্যদলগুলো মানুষের আস্থার-বিশ্বাস হারিয়েছে। আসলে নীতিহীন আদর্শহীন দল কিন্তু মানুষকে কিছু দিতে পারে না। সেখানে আওয়ামী লীগ মানুষের আস্থা অর্জন করছে বলেই তারা (দেশের জনগণ) ভোট দিচ্ছেন বলেই সরকারে আসতে পেরেছি। আমরা সরকারে আসতে পেরেছি বলেই দেশ আজ বিশ্বব্যাপী মর্যাদা পেয়েছে।