নতুন মৌসুমে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি পিএসজি তারকা নেইমার। দ্বিতীয় ম্যাচে নামলেন ঠিকই কিন্তু সুখকর হলো না। ম্যাচ হেরেছেন। এখানেই শেষ নয়, ম্যাচ চলাকালে জড়িয়েছেন মারামারিতে। শাস্তিস্বরুপ পেয়েছেন লাল কার্ডও।
তবে শুধু নেইমারই নন, এ ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছেন দু’দলের আরও কয়েকজন ফুটবলার। যেন এক ফাউল খেলার এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছিল দু’দলের ফুটবলাররা।
পুরো ম্যাচে হলুদ আর লাল কার্ডের যেন ছড়াছড়ি। ম্যাচের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে তর্কে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের দুই আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় লেওনার্দো পারেদেস ও দারিও বেনদেত্তো। তবে এই ঘটনাকে আরও বিস্তর করে তোলেন জর্ডান অ্যামেভি-ল্যাভিন কুরজায়ারা। ফলে চারজনকেই লাল কার্ড দেখান রেফারি।
এ সময় নেইমারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলা হয়। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্টের সহায়তায় দেখা যায় প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের মাথায় আঘাত করেছেন নেইমার। পরে তাকেও লাল কার্ড দেয়া হয়।
তবে এমন ঘটনায় নেইমারের যেন কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নেই কোনো অনুশোচনাবোধ। উল্টো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আরও রেগে গিয়ে নেইমার লিখেছেন, গঞ্জালেজের মাথায় থাপ্পড় না দিয়ে বরং মুখে ঘুষি মারা উচিত ছিল।
মার্শেইর ডিফেন্ডার গঞ্জালেজ তাকে অকথ্য ভাষায় বর্ণবাদী গালি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে এ কথা লেখেন নেইমার। তবে নেইমারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আলভারো গঞ্জালেজ। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ফুটবলে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। সবধরনের সতীর্থদের সঙ্গে খেলেছি আমি। কখনো কারো সঙ্গে এমন বিতর্কে জড়াইনি।
তবে নেইমারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ এবারই প্রথম নয়। এর আগেও কয়েকবার বর্ণবিদ্বেষী আচরণের শিকার হয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।