সম্প্রতি তুরস্কের ঐতিহাসিক স্থাপনা হাজিয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছে। ইতিহাস বলছে, ৫৩৭ খ্রীস্টাব্দে এই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ সময় গীর্জা হিসেবে ব্যবহারের পর ১৪৫৩ সালে এটিকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছিল। তারপর ১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা দেয় তৎকালীন তুর্কি সরকার। আইনি লড়াইয়ের পর আদালতের রায়ে বর্তমানে হাজিয়া সোফিয়া আবারো একটি মসজিদ।
ঐতিহাসিক হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করার পর এবার মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদ উদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। জেরুজালেম পোস্ট, ইসলামিক ইনফর্মেশন এর প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়, হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদ হিসেবে পুনঃরূপান্তরের মাধ্যমে আল আকসা মসজিদ স্বাধীন করার যাত্রা শুরু হয়েছে। হাজিয়া সোফিয়া পুনরুদ্ধার মুসলমান ও নির্যাতিত, নিষ্পেষিত মানুষদের আশার পুনর্জাগরণের প্রথম পদক্ষেপ।’
উল্লেখ্য, রোমের সম্রাট জাস্টিনিয়ান প্রথম এর রাজত্বকালে ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয় হাজিয়া সোফিয়া। তখন থেকেই এটি বিশ্বের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ স্থান এবং একটি সর্বপ্রথম পূর্ণঝুলন্ত গম্বুজ।
১৪৫৩ সালে সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহ ইস্তাবুল বিজয় করে তা ক্রয় করে এবং মসজিদ হিসেবে ওয়াকফ করে দেয়। ৪৮১ বছর পর ১৯৩৪ সালের ২৪ নভেম্বর কামাল আতাতুর্কের মন্ত্রীপরিষদ এটিকে জাদুঘরে পরিণত করে। ৮৬ বছর পর আবার তা মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়।